Friday, April 25, 2008
নোবেল জয়ী নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টার এর নোবেল বক্তৃতা থেকে..... (২)
নিকারাগুয়ার ট্র্যাজেডি এ বিষয়ে একটি মূল্যবান সবুদ। এ ঘটনাটি আমি একটি যুতসই উদাহরণ হিসাবে হাজির করতে চাই ততকালিন এবং বর্তমান পৃথিবীতে নিজের ভূমিকা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা সম্পর্কে।
১৯৮০ সালের শেষের দিকে লণ্ডনে অনুষ্ঠিত মার্কিন দূতাবাসের এক বৈঠকে আমিও ছিলাম।
মার্কিন কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল নিকারাগুয়ার বিদ্রোহী দল কন্ট্রাকে আরো আর্থিক সাহায্য করার ব্যাপারে। আমি গিয়াছিলাম নিকারাগুয়ার প্রতিনিধি হিসাবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি সেদিন ছিলেন ফাদার জন মেটক্যাফ। মার্কিন পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রেমণ্ড সিটজ (সেই সময় দূতাবাসের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা তবে পরবর্তিতে তিনি নিজেই রাষ্ট্রদূতের পদ গ্রহণ করেন)।
ফাদার মেটক্যাফ বললেন, " স্যার, আমি উত্তর নিকারাগুয়ায় এক ধর্মীয় এলাকার তত্ত্বাবধায়ক। এ এলাকার লোকেরা একটি স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর সংস্কৃতিকেন্দ্র গঠন করেছিল। আমরা শান্তিতেই ছিলাম। কয়েকমাস আগে কন্ট্রাদের একটা দল আমাদের এলাকায় চড়াও হলো। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র আর সংস্কৃতিকেন্দ্র সবকিছু ধ্বংস করেছে তারা চুড়ান্ত বর্বরতায়। নৃশংসভাবে ধর্ষণ করেছে নার্স আর শিক্ষিকাদের, ডাক্তারদের জবাই করেছে। আপনি দয়া করে মার্কিন সরকারের কাছে দাবি জানান, সরকার যেন এরকম ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে তার সমর্থন তুলে নেয়"।
....সিটজ শুনলেন, খানিকটা বিরতি নিলেন, তারপর গম্ভীর গলায় কথা বললেন। "ফাদার", তিনি বললেন, "আমি একটা কথা বলি। যুদ্ধে নিরপরাধ মানুষ সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়"। এরপর একটা হিম নৈঃশব্দ নেমেছিল। আমরা নিষ্পলক তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। তাঁর কোন ভাবান্তরই হয়নি।
নিরপরাধ মানুষ, অবশ্যই সব সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শেষ পর্যন্ত একজন বললেন, "কিন্তু এই ক্ষেত্রে 'নিরপরাধ মানুষ' এমন এক নৃশংস দলের নিষ্ঠুরতার শিকার যার সমর্থন করছে আপনার সরকার। যদি কংগ্রেস কন্ট্রাদের আরো অর্থ সাহায্য করে এই রকম পাশবিক কর্মকাণ্ড আরো ঘটবে। নয় কি? আপনার সরকার একটি স্বাধীন আর সার্বভৌম দেশে হত্যা এবং বিধ্বংসের সমর্থন অপরাধে অপরাধী না?"
সিটজ নির্বিকার, "উপস্থিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনার উক্তির সঙ্গে আমি দ্বিমত প্রকাশ করছি"।
আমরা দূতাবাস ছেড়ে আসার সময় এক মার্কিন সদস্য আমাকে বলেছিল আমার নাটক পছন্দ করে। আমি তার সঙ্গে কথা বলিনি।
আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে এই সময়েই প্রেসিডেন্ট রিগ্যান বলেছিলেন, "নৈতিকভাবে কন্ট্রারা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা পূর্বপুরুষদের সমতুল্য"।
Saturday, April 12, 2008
গনতন্ত্রের বিকশিত রূপই সমাজতন
গণতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্রের আসলে চারিত্রিকভাবে খুব একটা ফারাক নেই। গণতন্ত্রের বিকশিত রুপই (আপডেটেড ভার্সন) সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্রেই মানুষের মৌলিক অধিকার (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা) তো বটেই অন্যান্য আর্থ-সামাজিক অধিকারও ভালোভাবেই পূরন করা হয়। সেই হিসেবে গণ মানুষের অধিকার তথা মুক্তি একমাত্র সমাজতন্ত্রেই সম্ভব।
অথচ বিশ্বের দেশে দেশে গণতন্ত্রের নামে মানুষকে কিভাবে ঠকানো হচ্ছে। বুর্জোয়া ডেমোক্রাসী কিভাবে শোষণ করছে সাধারণ মানুষকে! আমাদের দেশে প্রতি ৫ বছর অন্তর ভোট দিয়ে আমরা আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেই যেন আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। নির্বাচনে ভোট দেয়া ছাড়া জনগনের আর কাজ নেই। সব কাজ তথা গণতন্ত্র চালিয়ে নিচ্ছেন আমাদের সুযোগ্য দেশদরদী জননেত্রী-দেশনেত্রী আর তাদের দলীয় নেতারা!
মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে একবিংশ শতাব্দীর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীগুলো চুষে খাচ্ছে বাংলাদেশের মত দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে। এর ফলে গরীব রাষ্ট্রগুলো ধনী রাষ্ট্রগুলোর সাথে প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে নিঃস্ব হচ্ছে। ধনী-গরীবের বৈষম্য দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমুল্যের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ মানুষের আয় সেই অনুযায়ী বাড়ছেনা। চিন্তা করে দেখুন আমাদের দেশের গার্মেন্টস ফাক্টরী গুলোতে একজন শ্রমিকের সর্বনিন্ম মজুরী মাত্র ১৬০০ টাকা (যদিও বাস্তবে এটাও পায়না) মাত্র। এই অর্থ দিয়ে কিভাবে সম্ভব বেচেঁ থাকা?
তথাকথিত গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে শোষক শ্রেণী নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। আর খুব বেশী দিন দূরে নেই যখন দুনিয়ার কৃষক-শ্রমিকেরা নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্রাজ্যবাদী বুর্জোয়া শ্রেণীকে সমূলে ধ্বংশ করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই সুন্দর শ্রেণীহীন সমাজের প্রত্যাশায় উন্মুখ রইলাম।
যে বইগুলো পড়া দরকার ......
আমি বিজয় দেখেছি(এম র আখতার মুকুল)
পূর্ব-পশ্চিম (সুনীল)
গর্ভধারীনি (সমরেশ মজুমদার)
উত্তরাধিকারী (সমরেশ মজুমদার)
কালবেলা (সমরেশ মজুমদার)
কালপুরুষ (সমরেশ মজুমদার)
আব্বুকে মনে পড়ে (হূমায়ন আজাদ)
সাতকাহন ( সমরেশ মজুমদার)
মেমসাহেব(বিমল মিত্র)
"ন' হন্যতে" (মৈত্রেয়ী দেবী)
ওয়াদারিং হাইটস (এমিলি ডিকেনসন)
মা (ম্যাক্সিম গোর্কী)
টম সয়্যার, হাকফিন (মার্ক টোয়েন)
শার্লক হোমস (স্যার আর্থার কোনান ডোয়েল)
মেটামরফসিস (কাফকা)
ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট (দস্তভয়স্কি)
সানস এন্ড লাভারস (লরেন্স)
কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো (আলেকজান্ডার দুমা)
এ টেল অফ টু সিটিজ (চাল'স ডিকেন্স)
হাড' টাইমস (চাল'স ডিকেন্স)
গল্পগুচ্ছ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
লাঞ্ছিত বঞ্চিত (দস্তভয়স্কি)
স্মেল (রাধিকা ঝা)
দৌড় (সমরেশ)
কাগজের বউ (শীর্ষেন্দু)
মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি (শীর্ষেন্দু)
বাজা তোরা রাজা যায় (বুদ্ধদেব গুহ)
লা নুই বেঙ্গলী (মির্চা এলিয়াদ)
অল কোয়াইট অন দা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট ( থ্রী কমোরেডস- এরিখ মারিয়া রেমার্ক)
স্পার্টাকাস-(হাওয়ার্ড ফাস্ট)
অদ্দভুতুড়ে সিরজের যত গল্প আছে (সব কটা- শীর্ষেন্দু)
টেনিদা (নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়)
সেকেন্ড ফাউন্ডেশন (আই রোবট- আইজাক অসিমভ।)
শিবরামের সবগুলো বই
সোফির জগৎ- অনুবাদ জোস্টেইন গার্ডার।
সোফি'জ ওয়ার্ল্ড - জোস্টেইন গার্ডার
আরজ আলী মাতুব্বর সমগ্র।
অরণ্যের দিনরাত্রি - সুনীল গান্গুলী
গড ফাদার - মারিও পূজো
ইস্পাত - নিকোলাই অস্ত্রভস্কি
আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস - আর্নেষ্ট হেমিংওয়ে
শ্রাবন রাজা -অনুবাদ (কবীর চৌধুরী)
ক্যথেরিনা ব্লুমের হারানো সম্ভ্রম (অনুবাদ: কবীর চৌধুরী)
নিঃসংগতার একশ বছর (গ্যা গা মা)
সব কিছু ভেংগে পড়ে (হূমায়ূন আজাদ)
মরন বিলাস (আহমদ ছফা)
অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী (আহমদ ছফা)
ভারতের ইতিহাস (নেহেরু)
বিশ্বের ইতিহাস (নেহেরু)
নেহেরুর অটোবায়োগ্রাফী
অপরাজিত (মানিক)
রিজারেকশান (ভুলছি)
শত রুপে দেখা (আশুতোষ মুখোঃ)
চিলড্রেনস অব নিউ ফরেস্ট-- অনুবাদ
আনন্দ মঠ (বংকিম)
দূরবীণ (শীর্ষেন্দু)
পার্থিব (শীর্ষেন্দু)
মানবজমিন (শীর্ষেন্দু)
আমি, সে ও সখা (আশুতোশ)
নতুন তুলির টান (আশুতোশ)
সখী তুমি কার (আশুতোশ)
নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটরী (সমরেশ বসু)
চৌরঙ্গী (শংকর)
কড়ি দিয়ে কিনলাম (বিমল মিত্র)
নবান্ন, অযান্ত্রিক (সুবোধ ঘোষ)
অপরাজিত (ইডিয়ট নাটক খ্যাত) -সমরেশ বসু
মেমসায়েব (নিমাই সাহেব )
সাইকোলজি অভ সেক্স--হ্যাভিলক এলিস (৫ খন্ড)
কথামৃত(শ্রী মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত)
পালামৌ (সন্জীবচন্দ্র চট্টপাধ্যায়)
লোটাকম্বল (সন্জীবচন্দ্র চট্টপাধ্যায়)
"SHE" AND "THE RETURN OF SHE"
(H RIDER HAGGARD)
ভল্গা থেকে গংগা(রাহুল সাংকৃত্যায়ণ)
বেল আমি (মপাসা)
লেডি চ্যাটার্লীজ লাভার- ডি এইচ লরেন্স
ম্যারেজ এন্ড মোরালস্, সুখের সন্ধানে, হোয়াই আই'ম নট এ কৃশ্চিয়ান, হিস্ট্রি অফ ওয়েস্টার্ণ ফিলসফি - বাট্রান্ড রাসেল
কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- হকিং
কাকে বলে ইতিহাস- ই এইচ কার
মন ও জড়বস্তু- শ্রুডিন্জার
ড্যান্সিং উ লি মাস্টার-
ফাউস্ট- গ্যোটে
মুজতবা আলী সমগ্র
বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা,খেলারাম খেলে যা- সৈয়দ শামসুল হক
বাংলা তিন বন্দোপাধ্যায়(মানিক,বিভূতি,তারাশংকর)
দাস ক্যাপিটাল- কার্ল মার্কস
মনবিশ্লেষণ, টোটেম এন্ড ট্যাবু- ফ্রয়েড
প্রফেট- কাহলিল জিব্রান
হাফিজ,খৈয়াম
উর্দু শের শায়েরী
নিম্নবর্গের ইতিহাস- পরিমল গুহ
নিশিকুটুম্ব- মনোজ বসু
অন দ্য রোড- জ্যাক কেরুয়াক
দাস স্পেক জরাথুস্ট্র- নিতশে
ওরিয়েন্টালিজম- এডোয়ার্ড সাইদ
মার্ক টোয়েন
ক্লাশ অফ সিভিলাইজেশান- হান্টিংটন
সবার জন্য নন্দনতত্ব, নভেরা,সুলতান- হাসনাত আব্দুল হাই
আউটসাইডার- আলবের্ কাম্যু
টিনড্রাম, জাংগে জেইগেন(জিভ কাটো লজ্জায়)- গ্রাস
বিষাদ সিন্ধু- মশাররফ হোসেন
বাইবেলে বর্ণিত গল্পগুলো
চতুর্বেদ,গীতা,রামায়ণ
আমার দেখা রাজনীতির পন্চাশ বছর,
কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো,
হাজার বছরের বাঙ্গালি সংস্কৃতি- গোলাম মুরশিদ
বিবর্তনের পথে পথে- বন্যা আহমেদ
সেকন্ড সেক্স- সিমন দ্য বুভোয়া
দি গড ডিলুশান, ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার- রিচার্ড ডকিন্স
তালিসমান, আইভানহো - স্যার ওয়াল্টার স্কট
প্রিজনার অফ জেন্ডা - এন্থনী হোপ
ট্রেজার আইল্যান্ড - রবার্ট লুই স্টিভেনসন
উড়ো খই - বিমল কর
প্রথম আলো - সুনীল
গ্রেট এক্সপেকটেশন্স - চার্লস ডিকেন্স (কবীর চৌধুরী অনুবাদ)
হাজার বছর ধরে - আলী ইমাম
লড়াই - মুনতাসীর মামুন
দ্বীপ দ্বীপান্তর - মুনতাসীর মামুন
থ্রী মাস্কেটিয়ার্স - আলেকজান্ডার দ্যুমা
ইতি তোমার মা - সঞ্জীব
বাইবেল, কোরআন ও বিজ্ঞান - মরিস বুকাইলি (আখতার উল আলম অনুবাদ)
সুকুমার সমগ্র
সেরা সন্দেশ (সত্যজিত রায় সম্পাদিত)
ফেলুদা সিরিজ (সত্যজিত)
শংকু সিরিজ (সত্যজিত)
আম আঁটির ভেঁপু (পথের পাঁচালী কিশোর সংস্করণ) - বিভূতিভূষণ
কিশোর রবীন্দ্রনাথ - হায়াত মামুদ
উইংস অফ ফায়ার - প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ
দ্য গড অফ স্মল থিংস - অরুন্ধতী রায়
my life -bill clinton
আনা কারেনিনা - লেভ টলস্টয়
গোরা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষের কবিতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ প্রশ্ন-শরতচন্দ্র
বিপ্রদাস-শরতচন্দ্র
একাত্তরের দিনগুলি-জাহানারা ইমাম
একাত্তরের ডায়েরী-সুফিয়া কামাল
হীরে বসানো সোনার ফুল , সমরেশ মজুমদার
জলের নীচে প্রথম প্রেম সমরেশ
আটকুঠুরী নয় দরজা , সমরেশ
সাদা বেড়াল কালো বেড়াল
ওয়ার এন্ড় পিস , টলষ্টয়
পথের প্যাচালী বিভূতি ভূষন
কবি , তারাশংকর
পুতুল নাচের ইকি কথা
দিবা রাক্রির কাব্য
সুবিনয় নিবেদন , বুদ্ধদেব গুহ
মাধুকারী , বুদ্ধ
নারী ,হুমায়ুন আজাদ
ক , তসলীমা নাসরিন
গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধ - লেখকের নাম পাইনি
বাঙ্গালীর ইতিহাসঃ আদি পর্ব - নীহাররঞ্জন রায়
আশার ছলনে ভুলি - গোলাম মুরশিদ
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস - বশীর আল হেলাল
দেশে বিদেশে - সৈয়দ মুজতবা আলী
শবনম - সৈয়দ মুজতবা আলী
খড়কুটো - বিমল কর
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান আন্ডেরসেনের সব
ইতিবৃত্ত - হিরোডাটাস
সক্রেটিস - হাসান আজিজুল হক
কথাসাহিত্যের কথকথা - হাসান আজিজুল হক
ইলিয়াড - হোমার
পৃথিবীর পাঠশালায় (বঙ্গানুবাদ)-ম্যাক্সিম গোর্কি।
আইজাক আসিমভের ফিকশন সিরিজ
মাদার তেরেসা (এমিল জোলার )
দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন(জন রীড)
লা মিজারেবল (ভিক্টর হুগো)
এন অটোবায়োগ্রাফী অফ এন আননোন ইন্ডিয়ান(নীরোদ সি )
।
******************************************
Thursday, April 10, 2008

আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে...
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,
আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,
স্বাধীনতা - একি হবে নষ্ট জন্ম ?
একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
বাতাশে লাশের গন্ধ
নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।
মাটিতে রক্তের দাগ -
চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়
এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-
তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ
মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
ঘুমুতে পারিনা...
রক্তের কাফনে মোড়া - কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা, সে আমার - স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -
স্বাধীনতা - আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।
বাতাস লাশের গন্ধ / রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ;
নোবেল জয়ী নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টার এর নোবেল বক্তৃতা থেকে..... (১)

[Harold Pinter: জন্ম ১৯৩০ সাল, লণ্ডন শহরের হ্যাকনিতে। ১৯৫০ এর দশকে ডেভিড ব্যারন ছদ্মনামে মঞ্চে অভিনয় শুরু করলেও ধীরে ধীরে তিনি নাট্যকার, চিত্রনাট্যলেখক ও পরিচালক হিসাবে সাড়া জাগিয়ে তোলেন। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে তাঁর লেখা অধিকাংশ নাটকই মূলত রাজনৈতিক হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। পাওয়ার কারণ- "তিনি তাঁর নাটকে মানুষের প্রাত্যহিক সাদামাটা বকবকানির আড়ালে লুকিয়া থাকা গোপন অশনি সংকেত উন্মোচন করেন এবং নিগৃহীতদের বদ্ধ দুয়ার ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়েন"।
পিন্টারের নোবেল বক্তৃতার চুম্বক অংশ এখানে তুলে দেয়া হয়েছে। অনুবাদ করেছেন- লুনা রুশদী]
........
........... আমাদের ঘিরে থাকে মিথ্যার পর্দা, তার মধ্যেই বসবাস আমাদের।
এখানকার প্রতিটি মানুষ জানেন যে, ইরাক আক্রমণের বৈধতা স্বরূপ বলা হয়েছিলো সাদ্দাম হোসেনের দখলে রয়েছে বিপজ্জনক গণবিদ্ধংসী অস্ত্রশস্ত্র, যার কোন কোনটা প্রয়োগ করার ৪৫ মিনিটের মধ্যে শুরু হবে ধংসযজ্ঞ। আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছিল যে এটাই সত্য। কিন্ত এটা সত্য ছিল না। আমাদের বলা হয়েছিল ইরাক আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত আর ২০০১ এ নিউইয়র্কে ঘটে যাওয়া সেপ্টেম্বর ১১ এর নৃশংসতায় তারাও শামিল ছিল। আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছিল যে এটা সত্য। কিন্তু এটাও সত্য ছিল না। আমাদের বলা হয়েছিল ইরাক সাড়া পৃথিবীর নিরাপত্তার প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং নিশ্চিত করা হয়েছিল এর সত্যতা সম্পর্কে। সত্য ছিল না এটাও।
সত্য পুরোপুরিই অন্য বিষয়। সত্য হল আমেরিকা পৃথিবীতে তার ভূমিকা বলতে কি বোঝে আর কি রূপে তার প্রয়োগ করে।
তবে বর্তমানে ফেরার আগে আমি অদূর অতীতের দিকে একবার তাকাতে চাই, অর্থাত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির দিকে দৃষ্টি ফেলতে চাই। এ সময়টার সতর্ক অনুসন্ধান আমাদের অবশ্য কর্তব্য বলে আমি মনে করি।
সবাই জানেন যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সোভেয়েত ইউনিয়ন আর সারা পূর্ব ইউরোপজুড়ে কি ঘটেছিল। পদ্ধতিগত নির্দয়তা, নৃশংসতা আর একক সত্তার দমন। এ সবকিছুই যাচাই এবং দলিলকৃত।
কিন্তু আমার আপত্তি হলো একই সময়ে আমেরিকার অপরাধগুলির রেকর্ড হয়েছে খুব ভাসাভাসাভাবে, দলিল, সত্যতা স্বীকার এমনকি অপরাধ হিসাবে এগুলিকে মেনে নেয়া তো দূরের কথা। আমি মনে করি এটা বলতেই হবে যে পৃথিবী এখন যেখানে দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে সত্যের গাঢ় সম্পর্ক রয়েছে। পৃথিবীজুড়ে আমেরিকার কার্যকলাপে এটা পরিস্কার যে, যা খুশি করার মত ক্ষমতা তার আছে।
............... (চলবে)
জয় বাবা আলুনাথ

যখন আমি খুব ছোট, সম্ভবত এরশাদ সরকার তখন ক্ষমতায়। সিলেটের যে থানা শহরে আমরা থাকতাম সেইখানে একটা আলু মেলা হয়েছিল। আলুর দোষ কী জিনিশ সেইটা সবাই জানেন। কিন্তু আলুর গুন সেইদিন আমি চর্মচক্ষে দেখেছিলাম। আলু নিয়ে রীতিমতো এক মেলা হয়েছিল। মেলার স্লোগান ছিল, বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান। মেলায় গিয়া আমার চোখ আলুপুরি হয়ে গেল। আলু ভর্তা, আলু ভাজি,আলুর কোপ্তা, আলুর কালিয়া এগুলো সবই আছে। সঙ্গে আছে আলুর ভাত, আলুর রুটি। আলুর মিষ্টি, আলুর দম। থানা শহরের সরকারি কর্মকর্তাদের স্ত্রীরা দোকান সাজিয়ে রীতিমতো আলুর মিনাবাজার তৈরি করেছিলেন। আলু দিয়ে কী না সম্ভব? সম্ভব অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিলেন। তখন খিয়াল করি নাই দেশে খাদ্য সংকট চলতেছিল কি না। স্কুলে পড়তাম তো। কিন্তু আলুর নানা পদ ও প্রকারভেদ সেইদিন আমার মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। আলু নিয়ে কত ভেবেছি। কিন্তু মধ্যবিত্ত জীবনে আলু অভ্যাসে বৈচিত্র আসে নাই। ভর্তা, ভাজি বা তরকারির থোড়া ছাড়া আলুর আর কোন ভূমিকা পরবর্তী কালে লক্ষ্য করি নাই। জীবন চলে যাচ্ছিল। দুর্নীতি, সহিংসতা, বিএনপি আওয়ামী লীগ জীবন আকীর্ণ করে রেখেছিল।
আবার জীবনে আলু নিয়ে ভাবার সময় এলো। সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ায় আলুর দিকে তাকাবার অবসর মিললো। হে আলু দেখাও তবে তোমার রূপ। কী ভাবে কত ভাবে তোমাকে খাই বলো। আবার এসেছে আলু। কারণ, চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। মরিচ, পেঁয়াজ, আলু নয় চালবাজ বাঙালির চালে এবার প্রকৃতই ঢিল পড়িয়াছে। চালের দাম বাইড়া গেছে গা। বাঙালি ভাত না খাইলে বাঁচিবে না। অতএব চাল না থাকিলে তাহার মৃত্যু অবধারিত।
চালের ঘটনায় আমার চোখ একেবারে খুলে গেছে। আগে ভাবতাম বিএনপি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিশাল এক ষড়যন্ত্র পেঁচাইয়া সিভিল ও মিলিটারি সোসাইটি বইসা আছে। সুযোগ পাইলে নাইমা পড়বো। এখন বুঝতেছি। মনের ভিতরে ক্ষমতার যাতনা ছাড়া আর কিছুই তাহাদের মনে আছিল না। তা না হইলে যাদের শাসন করা হবে তারা কত টন চাল খায় তার হিসাব অন্তত তারা করতো। প্রথমে তো মনে হইতেছিল ক্ষমতা একপ্রকার হানিমুন। মধুচন্দ্রিমা যাপন করে চলে যাও। খোশ মে রহো। সংবিধানে তিন মাসের মধুচন্দ্রিমা বৈধ ছিল। কিন্তু আঠারো মাসে মধুচন্দ্রিমা মধুযাতনায় পরিণত হইলো। কী ছিল বিধাতার মনে। তিনি বাঙালিকে দিয়েছেন ভাতের ক্ষুধা, সঙ্গে বন্যা সিডর আর কর্মঅসংস্থান, মন্দা।
ফলে, আলুর কথা আইসা পড়লো। এসো হে আলু এসো এসো।
বৈশাখও আইসা পড়লো। চারদিকে ফ্যাশন শো। পান্তা-ইলিশ উৎসবও হইবে অনুমান করা যায়। দেশের মানুষ খেতে পাবে না আর আলু খোররা ফ্যাশন শোর টেবিল থেকে নেমে গিয়ে বটমূলে পান্তা চিবাবে। ভাবতে ভালোই লাগে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
হিডেন হাঙ্গার, নিরব দুর্ভিক্ষ আর সরব আলুর দেশে একটু সামনে তাকানো যাক। কাইলকা বিডিআর বলছে, বোরো উঠলেও চালের দাম কমবে না। পরশু সেনাপ্রধান বলছেন, সেনাবাহিনী এমন কিছু করবে না যাতে প্রশাসনের সামরিকায়ন হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, বিডিআর চাল বেচে ঠিক আছে। কিন্তু তারা কী কৃষি খাদ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও চালায়। তাদের সেই অবকাঠামো আছে? তারা কেমনে বলে চাউলের দাম কমবো না।
অবশ্য চাউলের দাম কমবো না সেইটা বিশেষজ্ঞ জ্ঞানে না হইলেও সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যাইতেছে। কারণ কী? কারণ বোরোতে আশানুরূপ ফল মিলিবে না। বাংলাদেশে হাইব্রিডের ক্যানভাসাররা এইবার এমন বীজ আনছে যে, ধানক্ষেতে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব। পাতামরা রোগে ধান শীঘ্রই পাতানে পরিণত হইতেছে। কৃষকের হাতে এইসব পাতামরা জাতের ধান দিয়া ফলাইতে বইলা আরও বড় বিপদ ডাইকা আনা হইছে। এখন বোরো উঠলেও চালের দাম কমবো না। ফলে, আলু খাওয়ার অভ্যাসটা কয়মাসে একটু বাড়ানো ভাল। আর প্রার্থনা এই হে স্বর্গীয় আলু, আমাদের ছেড়ে যেও না।
আলুর দিকে সৃষ্টিশীলভাবে তাকান। হে আলু জীবন, এসো।
উপরিউক্ত লেখাটি নিচের link থেকে নেয়া হয়েছে
http://www.somewhereinblog.net/blog/mahbubmoreblog

