Saturday, April 12, 2008

গনতন্ত্রের বিকশিত রূপই সমাজতন

প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করাই গণতন্ত্র নয়। অথচ আমাদের দেশে এতদিন এটাই চালু ছিল। গণতন্ত্র মানে জনগনের তন্ত্র অর্থাৎ জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। আদৌ কি কোনো দেশে গণতন্ত্র সত্যিকারভাবে আছে? গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলে বিবেচ্য খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই গণতন্ত্রের গ'ও নেই।

গণতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্রের আসলে চারিত্রিকভাবে খুব একটা ফারাক নেই। গণতন্ত্রের বিকশিত রুপই (আপডেটেড ভার্সন) সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্রেই মানুষের মৌলিক অধিকার (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা) তো বটেই অন্যান্য আর্থ-সামাজিক অধিকারও ভালোভাবেই পূরন করা হয়। সেই হিসেবে গণ মানুষের অধিকার তথা মুক্তি একমাত্র সমাজতন্ত্রেই সম্ভব।

অথচ বিশ্বের দেশে দেশে গণতন্ত্রের নামে মানুষকে কিভাবে ঠকানো হচ্ছে। বুর্জোয়া ডেমোক্রাসী কিভাবে শোষণ করছে সাধারণ মানুষকে! আমাদের দেশে প্রতি ৫ বছর অন্তর ভোট দিয়ে আমরা আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেই যেন আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। নির্বাচনে ভোট দেয়া ছাড়া জনগনের আর কাজ নেই। সব কাজ তথা গণতন্ত্র চালিয়ে নিচ্ছেন আমাদের সুযোগ্য দেশদরদী জননেত্রী-দেশনেত্রী আর তাদের দলীয় নেতারা!

মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে একবিংশ শতাব্দীর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীগুলো চুষে খাচ্ছে বাংলাদেশের মত দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে। এর ফলে গরীব রাষ্ট্রগুলো ধনী রাষ্ট্রগুলোর সাথে প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে নিঃস্ব হচ্ছে। ধনী-গরীবের বৈষম্য দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমুল্যের দাম কয়েকগুন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ মানুষের আয় সেই অনুযায়ী বাড়ছেনা। চিন্তা করে দেখুন আমাদের দেশের গার্মেন্টস ফাক্টরী গুলোতে একজন শ্রমিকের সর্বনিন্ম মজুরী মাত্র ১৬০০ টাকা (যদিও বাস্তবে এটাও পায়না) মাত্র। এই অর্থ দিয়ে কিভাবে সম্ভব বেচেঁ থাকা?

তথাকথিত গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে শোষক শ্রেণী নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। আর খুব বেশী দিন দূরে নেই যখন দুনিয়ার কৃষক-শ্রমিকেরা নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্রাজ্যবাদী বুর্জোয়া শ্রেণীকে সমূলে ধ্বংশ করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই সুন্দর শ্রেণীহীন সমাজের প্রত্যাশায় উন্মুখ রইলাম।

No comments: